Alok Tirtha by Sailendra Narayana Ghoshal
উৎসর্গ
আলোক-তীর্থের প্রেরণাদাতা, আমার জীবনের ইষ্ট, উপাস্য, প্রিয়-পরম চিরআরান্যতম, অলখ লোকনিবাসী শ্রীশ্রীশশিভূষণ ঘোষাল পিতৃদেব শ্রীচরণ কমলেষু -
ৰাৰা !
আলোক-স্বরূপ সদ্গুরুলাভ এবং সত্যানুসন্ধানের প্রেরণা তুমিই দিয়েছিলে। ভারতবর্ষের নানাস্থান ঘুরে ফিরে এসে সব কিছু তোমাকে শোনাতে হ'ত। তোমার দয়ায় আলোক-তীর্ণের সন্ধান পেয়েছি, তাতে অবগাহন করে শাস্তি পেয়েছি ; “ অমৃত পিয়া গুরুনে দিয়া”। কিন্তু সে অপূর্ব কথা তোমাকে শোনানোর সুযোগ হয়নি। তাই আমার সেই আলোক-তীর্থ পরিক্রমার অমৃত কথা, সত্যলাভে বাধা বিপত্তির কথা সব কিছু গ্রন্থাকারে রচনা কবে তোমার চরণে নিবেদন করছি। তুমি দয়া করে গ্রহণ কর, আশীর্ব্বাদ কর, নতুনভাবে প্রেরণা দাও, আদর কর। তোমার এই স্নেহের কাঙালটাকে কি আর ভুলতে পার ? তাই সন্তসদ্গুরুরূপে এসে কোলে করেছ। সেই প্রেম ঢলঢল, হেসেজল, দয়ালমূর্তি। তাই তো আমার দৌরাত্ম্য সহ করছো! সেই স্বয়া, সেই আদর, সেই মমতা ! তোমার স্নেহগন, ক্ষমাসুন্দর ভাব দেখেই চিনতে পেরেছি।
হোম আরতি ঘি এর বাতি তপ তপস্যার আড়ম্বর,
জপবো না নাম, ন্যাস প্রাণায়াম, করবে৷ নাকো অতঃপর । কাজ কি মিছা জঞ্জালে,
কি হবে মোর চক্ষু মুদে,
আসন পেতে বাঘ ছালে ?
তুমিই আমার ইষ্ট পিতঃ! তুমিই আমার দয়াল গো !
দাও চরণের পুণ্যধুলি, আশীষ
তোমার মহার্ঘ।”
স্নেহধন্য সেবক-
শৈলেন।
প্রকাশক :—ডাঃ বঙ্কিম চৌধুরী।
সেক্রেটারী—মেদিনীপুর হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল |* সম্ভদাম, ' কর্ণেলগোলা - মেদিনীপুর।
প্রথম সংস্করণ ১৩৬৪
Language: Bengali
Size:26 MB
Format: PDF
Page:441